জীবনের প্রমত্ত ঢেউ
শামীম আহমেদ
 আমরা আমাদের চারপাশে যত সাফল্যের গল্প দেখি, তার পেছনে যে কত-শত বঞ্চনা-ব্যর্থতার কাহিনী থাকে, তা আমাদের বেশিরভাগেরই অজানা থেকে যায়। যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সাধনা, যন্ত্রণা, শ্রমের কাব্যগুলো সম্পর্কে অবগত নই, সেহেতু কেবল সাফল্যের গল্প আমাদের অনেককে বিচলিত করে। আমরা অনেক সময় ভাবি আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ। তবে এ-ও ঠিক, কারও কারও সাফল্যের জন্য অন্যদের মতো অতটা পরিশ্রম তো করা লাগে না। অনেকের ভাগ্যও ভাল হয়, আবার কেউ কেউ পারিবারিকভাবেই অনেক ...বিস্তারিত
বনলতা রিডিংস : পঞ্চকবির আসর
সায়কা শর্মিন
 মিরপুরের পশ্চিম মনিপুরের একটি শিল্পম-িত বাড়ির নাম বনলতা। বাড়িতে বসবাস করেন লেখক জুটি ফারসীম-ফারহানা। তাদের আয়োজনে বাড়িটিতে ক’বছর হলো শুরু হয়েছে ‘বনলতা রিডিংস’ শিরোনামে পাঠ-আয়োজন। আসলে এটি লেখক-আড্ডাই। কিছুদিন আগে হয়ে গেল বনলতা রিডিংসের পঞ্চম আসর। এবার ষাটের দশক থেকে শুরু করে পাঁচ প্রজন্মের পাঁচজন কবিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই পঞ্চকবি হলেন রুবী রহমান, আসাদ মান্নান, কামরুল হাসান, মাহবুব কবির ও আফরোজা সোমা। অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক এসেছিলেন কথাসাহিত্যিক ...বিস্তারিত
দমবন্ধ প্রহরে
কল্যাণী রমা
 ‘লক্ষ মানুষ ভাত চেয়ে মরে লক্ষ মানুষ শোকে ভেসে যায় ঘরহীন ভাসে শত শত লোক লক্ষ জননী পাগলের প্রায়। রিফিউজি ঘরে খিদে পাওয়া শিশু পেটগুলো সব ফুলে ফেঁপে ওঠে এইটুকু শিশু, এতবড় চোখ দিশেহারা মা কার কাছে ছোটে। ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে যুদ্ধে ছিন্ন ঘর-বাড়ী-দেশ মাথার ভিতর বোমারু বিমান এই কালো রাত কবে হবে শেষ। শত শত মুখ হায় একাত্তুর যশোর রোড যে কত কথা বলে এত মরা মুখ আধ মরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে।’ আমরাও চলেছি। মা এক শাড়িতে, ...বিস্তারিত
রবীন্দ্রনাথের নন্দলাল
শেখ মিরাজুল ইসলাম
 শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর সাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচয় ১৯০৯ সালের দিকে। মাধ্যম ছিলেন নন্দলালের শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কালক্রমে এই দুই ঠাকুরের অন্যতম প্রিয়পাত্র ও প্রেরণার উৎস হয়ে পড়লেন নন্দলাল। অবনীন্দ্রের ওরিয়েন্টাল আর্ট সোসাইটি ও রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন, এই দুই স্থানেই নন্দলালের বিকল্প ছিল না বলা যায়। ১৯০৫ সালের ১৫ আগস্ট অবনীন্দ্রনাথ সরকারী চারুকলা বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। তখনই বিহারের মুঙ্গের জেলার খড়গপুরের নিসর্গের এই জাতশিল্পী অবনীন্দ্রের সাহচর্যে ...বিস্তারিত
বিলেতে মিশুক মুনীরের সঙ্গে
শাকুর মজিদ
 ২ জুলাই ২০০৪। ঢাকা বিমানবন্দর ছাড়ার সময়ও আমার সংশয় ছিলো—এ কাজটা হবে কিনা। আয়োজকদের জানিয়েও ছিলাম এমন কথা। বলেছিলাম, মূল নায়িকার যাওয়া এখনও নিশ্চিত হয়নি, আপাতত পিছিয়ে দেন নাটকের কাজ। কিন্তু তারা নাছোড়বান্দা। কোনোভাবেই পিছাবে না। ৩ তারিখ রাতে কানাডা থেকে এলেন মিশুক মুনীর। মিশুক ভাইয়ের সাথে এর আগে কাজ করেছি ‘করিমুন্নেছা’ টেলিফিল্মে। তার কাজ আমার বেশ পছন্দ। তাছাড়া কানাডাতে তিনি মূলধারার টেলিভিশনের সাথে যুক্ত এবং বিভিন্ন ...বিস্তারিত
|