
রাকীব হাসান
বারবার ফিরে আসবো আমি জঙ্গম পৃথিবীর কাছেসব সম্ভাবনার গলা নিজেই টিপে ধরেছি
আমার একা হতে পারার দাগ পড়েছে দুয়ারে,
সকল জানালায় তাকিয়ে আছে নির্জনতার ভরা চাঁদ
এই রাতে জ্যোৎস্নার কোন রূপালী রঙ নেই
দেখায় সে করুণ শাদা কফিনে মোড়া লাশ।
কচুপাতার ওপরে সামান্য পানি
টলমল করছে পড়ে যাওয়ার আগে-
কেমন খাঁখাঁ করছে উপাসনালয়ের মাঠ।
মারতে পারছি না কিছুতেই
দেখতে পারছি না, যে আমাকে খুন করতে এসেছে!
আমি সত্যটা জানি, একটি ন্যাংটা ঘুরছে
শহরে-গ্রামে, দেশে দেশে অদৃশ্যে-
ঢুকে যাচ্ছে সে বহুবর্ণের পোশাকের ভেতরে।
স্বভাবী এই ন্যাংটা বেহেস্ত-দোজখ এক থালায় খেতে জানে।
ভয়ে বন্ধ হয়ে যায় ভ্যাটিকান, মক্কা আর রাম-মন্দির;
আমার আলোর গভীরের যে ধ্যাননিবিষ্ট মন বিশ্বজগৎ দেখে,
সে মন কোনদিন, কোথাও স্বর্গ দেখতে পায় না!
সকল অন্ধকারে জরজর কিনার পার হয়ে আসি
জীবনের প্রতিটি নরকবাসের পরে আমি ঘর ফিরে চাই।
আদিম আদমের মতো আপেলের দিকে চেয়ে থাকি,
শেষ পর্যন্ত আপেলই সত্য আমার-
বারবার ফিরে আসবো আমি জঙ্গম পৃথিবীর কাছে।
মারজুক রাসেলজি-ফাইভআমার হাত থেকে ছুটে পড়া রাস্তাটা এঁকেবেঁকে,
সোজা, এঁকেবেঁকে কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়েছে।
রাস্তার দুই পাশে হেক্টর-হেক্টর হাসপাতাল-ক্ষেত-
গেলবারের তুলনায় এবারের ফলন বাম্পার,
৩ গুণ; দেখতে-দেখতে ঔষধের দোকান খুশিমুখ, ফ্রিজ।
পাখিরাও অ্যাম্বুলেন্সের শিস শুনে-শুনে নিজেদেরটা ভুলে গেছে।
ক্ষয় নাই।
পিয়াস মজিদপ্রাণের পরিভাষামৃত্যু আমাদের মেডেল দিল
তবু মরিয়া সেই মোক্ষের দিকে,
জীবন নামের জ্যোৎস্না ও জটা।
সমুদ্র; নোনা আয়ুর আস্বাদ নেব।
নক্ষত্রের রাজনীতি
আর অন্ধকার অপ্সরার অভিসার শেষে
ধূসর পাতাল থেকে
গোলাপি গম্বুজে
কবিতাব্যর্থ কালের কবুতর হয়ে
বাকবাকুম-ভাষায়
দুর্বোধ্য আমাকেই আমি
অনুবাদ করে দেখব
ধূ ধূ মরুশরীরে এখনও
ঝিরি ঝিরি ছায়ার নহর।
বিস্মৃতবকুল পৃথিবী-মেয়েটি খোঁপায়
অকস্মাৎ বিষ বেঁধে থাকলেও
স্বপ্নদেশের ঊষর ধর্মঘট পেরিয়ে
ঢেঁকির ঢেউয়ে ওই তো;
আমারই বেঁচে থাকার
জলধান ভানে।
মাইনুর নাহারকালো গোলাপজানাজা পড়তে মানা ছিল
তোমার কাছে সাদা কাপড় মানেই এখন
মৃত্যুর পরোয়ানা, আফসোস! ভালোবাসা মহামারী হয়ে
আসে না কোন কালে।
অণুজীব ভাইরাসগুলি লকডাউনেও ছড়ায়
তা-বলীলা। সমস্ত মুদ্রাদোষ ছেড়ে
স্বৈরতন্ত্রী তুমি নরকের
দুয়ারে এখন,
হাতে কালো গোলাপ।