করোনাকাল
বিচ্ছিন্ন অনুভব
মাহফুজা হিলালী

প্রবন্ধ
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
শামসুজ্জামান খান

গল্প
ডায়মন্ড লেডি ও পাথর মানব
হামিদ কায়সার

গদ্য
নিদ্রা হরণ করেছিল যে বই
মিনার মনসুর

নিবন্ধ
পঞ্চকবির আসর
সায়কা শর্মিন

বিশ্বসাহিত্য
আইজাক আসিমভের সায়েন্স ফিকশন
অনুবাদ: সোহরাব সুমন

বিশেষ রচনা
প্রথম মহাকাব্যনায়ক গিলগামেশ
কামাল রাহমান

শ্রদ্ধাঞ্জলি
মুজিব জন্মশতবর্ষ
মারুফ রায়হান
 
সাক্ষাৎকার
কথাশিল্পী শওকত আলী

জীবনকথা
রাকীব হাসান

ভ্রমণ
ইম্ফলের দিনরাত্রি
হামিদ কায়সার

ইশতিয়াক আলম
শার্লক হোমস মিউজিয়াম

নিউইর্কের দিনলিপি
আহমাদ মাযহার

শিল্পকলা
রঙের সংগীত, মোমোর মাতিস
ইফতেখারুল ইসলাম

বইমেলার কড়চা
কামরুল হাসান

নাজিম হিকমাতের কবিতা
ভাবানুবাদ: খন্দকার ওমর আনোয়ার

উপন্যাস
আলথুসার
মাসরুর আরেফিন

এবং
কবিতা: করেনাদিনের চরণ

১৬ বর্ষ ০৭ সংখ্যা
ফেব্রুয়ারি ২০২৪

লেখক-সংবাদ :





রূপসী বাংলার চিত্রকর
মারুফ রায়হান
জলরঙের কবি অলকেশ ঘোষ প্রকৃতির রূপমাধুরীতে মজে আছেন শুরু থেকেই। নিষ্ঠুর হন্তদন্ত শহর এই ঢাকায় কোথায় আছে সেই অফুরান প্রাকৃতিক শোভা? নৈসর্গিক সুষমায় শিল্পীর আপন শিল্পপিপাসা মিটিয়ে নেবার জন্যে উদার ভূমিকা নিয়ে আছে গ্রামবাংলাই। অলকেশ সুযোগ মেলানোর অপেক্ষায় থাকেননি। নিয়মিতভাবে গেছেন তার শেকড়ে, জামালপুরে; আর প্রকৃতিকে ভালোবেসেছেন বলে রূপসী বাংলার সৌন্দর্যের সান্নিধ্যে ফিরে গেছেন বারবার। বরং বলা সংগত যে জীবনের টানা একুশ বছর সংবাদপত্রের শিল্প-বিভাগে চাকরির কর্তব্য পালন করেও তাঁর প্রকৃত মানস-নিবাস বাংলার প্রকৃতিতে; আরো স্পষ্ট করে বললে, এই বিচিত্র বিমূর্ত-কীটদষ্ট ঢাকা নগরীর বাইরে। তবু দিনানুদৈনিক বসবাসের এই নগরীর কদর্য-চূড়ায় আগুনরূপ-ছড়ানো কৃষ্ণচূড়া তার দৃষ্টি এড়ায়নি, ক্যানভাসে উঠে এসেছে অন্তর্গত আনন্দের শাঁসটুকু নিয়ে। আর একইসঙ্গে অযান্ত্রিক যান রিকশাও এসেছে নগরীর অনিবার্য প্রতীক হিসেবে। যান্ত্রিক নগরজীবন, আকাশছোঁয়া অত্যাধুনিক ভবনের ছবি কি নেই তাহলে অলকেশের চিত্রপটে? হ্যাঁ, সেটাও রয়েছে অকাট্য বাস্তবের নিদর্শন হিসেবেই। সিঙ্গাপুরের নগরচিত্রের পাশে ঐতিহ্যম-িত আদি ঢাকার অলিগলির জীবনজঙ্গমতা যতোই বৈপরীত্য জাগাক, এসবই যে অভিন্ন শিল্পীর নগরদর্শন- তাতে দর্শকের কোনো সংশয় থাকে না। এখানেই শিল্পীর নিজস্ব শৈলীর প্রকাশ।
বাংলাদেশের ভূমি ও নিসর্গের সৌন্দর্য এবং পল্লীজীবন নিয়ে কোন্ শিল্পী আঁকেননি! চলন-সক্ষম শৈল্পিক প্রয়াসে ক্যানভাসে ছবির মতো সেইসব ছবি ফুটিয়ে তোলার চর্চায় মাতেননি কোন্ চিত্রকর? স্মৃতিজাগর নয়নলোভন সেইসব চিত্রকর্মের শতভাগ কি আমাদের মনে অসামান্য সুর ছড়িয়ে দিতে সমর্থ! তা নয়। গ্রামে গুল্মময় পুষ্পিত বিলের প্রান্ত-ঘেঁষা নুয়ে পড়া তালগাছ, জলে তার প্রতিবিম্ব- অতিচেনা এই পরিবেশ ক্যানভাসে স্থাপন করতে পারবেন শিল্পশিক্ষাসম্পন্ন যে কোনো চিত্রকরই। কিন্তু সব ছবি কি আমাদের সুখ ও তৃপ্তি দেবে? কিংবা আরেকটি ছবির কথাই ধরি। তুরাগতীরে শেকড়ছড়ানো সুবিশাল বৃক্ষের পাদদেশে খেতে ফলানো বিবিধ সবজি-সম্ভার। শুধু সারি সারি নৌকোয় সওয়ার হয়ে নয়, বেপারিদের মাথায় ঝুড়ি-ভর্তি হয়ে রকমারি ফসলের আগমন; সেইসঙ্গে দৃষ্টিকে ঊর্ধ্বমুখী করলে দেখা যাবে ক্রেতার কোলাহলে সরগরম বাজার, মেঠোপথের পাশে দু-তিনটে শীর্ণ দোকানঘর। কোথাও নেই যান্ত্রিক যানের অস্তিত্ব। সব মিলিয়ে খোলা আকাশের নিচে রোদমাখানো সকালে প্রাণপ্রাচুর্যের উপস্থিতি। এইসব পটভূমির ডিটেইলে সূক্ষ্ম বিষয়গুলো অবলোকন এবং চিত্রার্পণে প্রাজ্ঞতা ও প্রাঞ্জলতা দেখাতে পারেন কয়জন? খ-কালীন কোনো শিল্পীর পক্ষে সেটা কোনোদিনই সম্ভব নয়। একটি ছবি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে ওঠে কেবল জীবন পূর্ণাঙ্গরূপে নিবেদন করা অভিজ্ঞ প্রেমিক শিল্পীরই হাতে। একই থিম নিয়ে অঙ্কিত শত ছবির সারিতে তাঁর ছবিটি হয়ে ওঠে অনন্য। আমাদের হৃদয় বলে ওঠে- আহা পারফেক্ট আর্ট। সেরকম শুদ্ধ শিল্পী এই অলকেশ ঘোষ। যার বাস্তবধারার ছবিসমূহের সম্মুখে দাঁড়িয়ে এক ধরনের বিমূর্ততার বোধও আমাদের হৃদয়ে সঞ্চারিত হয়। সময়ের ছবি সময় ছাড়িয়ে যাওয়া কোনো ছন্দ আর সুরের দিকে আমাদের আহ্বান জানায়। সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চল, নদীতট ও মেঠোপথ, অরণ্য (সুন্দরবন) ও দ্বীপ (সেন্ট মার্টিন) - সবই সংলগ্ন মানুষ, পাখিপাখালি, অন্যান্য প্রাণী ও পারিপার্শ্ব তার মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমেত উপস্থাপিত তাঁর চিত্রপটে।
হ্যাঁ গ্রামীণ জীবন বদল যাচ্ছে। নগরের নখর তাতে আঁচড় কেটে চলেছে। নদীগুলো বিপদাপন্ন, নদীপারের জীবনধারায় মিশছে এক মিশ্র অবয়ব। অলকেশের ছবিতে বাংলাদেশের যে গ্রামীণ রূপ ধরা আছে, সেটি হয়তো পনের-কুড়ি বছর আগেকার জীবনবাস্তবতা। তখন নদীরাও ছিল যৌবনময়ী, তার বুকে ভেসে বেড়ানো রঙিন পালতোলা নৌকোগুলো যেন চঞ্চল প্রজাপতি। গরু বা মোষের গাড়ি ছিল পল্লীর পথে প্রতিদিনের গতিময় অধ্যায়। অলকেশের ছবিতে গাড়োয়ানের তৎপরতা ও মোষের সচলতার নেপথ্যে বাংলার যে চিরকালীন নৈসর্গিক নান্দনিকতা, বিচিত্র বর্ণিল রূপসুধা, আলোছায়ার বিস্তার- তা যেমন নজরকাড়া তেমনি হৃদয়-সংবেদী। বাস্তব হয়েও তা স্বপ্নজগৎ। আমরা দেখবো পরবর্তীকালে গ্রামে ব্যাপকভাবে প্রচলন হয় ভ্যানরিক্সার। সংগত কারণে শিল্পীর চিত্রপটে সেটিও স্থান করে নেয়। তবে সর্ববিচারে এইসব গ্রামীণ চিত্রকর্ম হয়ে উঠেছে দৃষ্টিসুখকর প্রকৃতিবন্দনাই। একসময়ে গ্রামে ছিল প্রশস্ত পরিসর, তাতে বাতাসের ছিল অবাধ পর্যটন। বাড়তি মানুষের চাপে হাঁসফাঁস দশা ছিল না পল্লীর প্রাঙ্গণ ও প্রান্তরের। রূপের যতোই বদল হোক, ক্ষয়ের বিস্তার ঘটুক- তারপরও গ্রামবাংলা এখনও যথেষ্ট রূপবতী মায়াবতী। শুধু সেই মায়া আর শোভা আবিষ্কারের মতো শিল্পসম্মত দৃষ্টি থাকা চাই।
আমরা বলেছি, অলকেশ জলরঙের কবি। এদেশে যারা জলরঙ মাধ্যমটিতে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে এসেছেন, তাঁরাও স্বীকার করে নিয়েছেন এই কঠিনতম শিল্পমাধ্যমে বিশেষ পারঙ্গমতা ও স্বকীয়তা প্রদর্শন করতে পেরেছেন অলকেশ ঘোষ। টেকনিকটিতে তাঁর নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতা ঈর্ষণীয়। দুই শিক্ষক রফিকুন নবী ও মনিরুল ইসলামের সমীহও পেয়েছে তাঁর জলরঙে আঁকা শিল্পকর্ম। এমনকি লক্ষ্যণীয় মুর্তজা বশীরও অলকেশের একটি জলরঙ ছবির নিচের জমিনে প্রশংসাসূচক বাণী স্বহস্তে উৎকীর্ণ করেছেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন রীতিমতো তাঁকে আদেশ দিয়েছিলেন প্রতি তিন মাস অন্তর জলরঙের কাজের প্রদর্শনী করতে। অলকেশ ঘোষ বিশ্বাস করেন কবিতার ছন্দের মতো জলরঙেরও ছন্দ রয়েছে। শিল্পপ্রেমীরা নিশ্চয়ই সেই ছন্দের ব্যঞ্জনা অনুভব করেন তাঁর জলরঙচিত্রে। শিল্পকলার সঙ্গে কবিতার সুসঙ্গতি বা ঐকতান অনুভূত হয় খুব কমসংখ্যক চিত্রকর্ম দর্শনেই। অলকেশের বহু জলরঙচিত্রে আমরা তার দৃষ্টান্ত পাই। এমনকি শিল্পের সুরেলা ভঙ্গিটিও যেন দৃশ্যমান হয়ে ওঠে তাঁর অনেক ছবিতে।
প্রতিকৃতি বা পোর্ট্রটে অংকনে আমাদের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গাও এই অলকেশ ঘোষ। প্রধানত তেলরঙ ও এক্রিলিকেই এঁকেছেন প্রতিকৃতি। মানুষের মুখ অবিকল অথচ অবিকল্পভাবে অংকনে তিনি সিদ্ধহস্ত। সে হোক কোনো সাধারণ সামাজিক ব্যক্তির প্রতিকৃতি কিংবা রবীন্দ্রনাথ অথবা বঙ্গবন্ধুর মতো সুমহান ব্যক্তিত্বের মুখ। তাঁর দুটি চিরকালীন প্রতিকৃতি পটুয়া কামরুল হাসান ও পায়রা হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি।
অলকেশ ঘোষের জন্ম ১৯৫০ সালে। চার ভাইবোনের সংসারে বাল্যকালেই হন পিতৃহীন, ফলে লেখাপড়ায় সাময়িক যতি পড়ে, বিড়ি কারখানায় কাজ নিতে হয়। পরে আবার স্কুলে ভর্তি হন। ঢাকার আর্ট কলেজে পড়ার সময়ে থাকা খাওয়ার বিনিময়ে বাণিজ্যিক দোকানে সাইনবোর্ড আঁকাসহ রঙতুলির ভিন্ন কাজও করতে হয়েছে তাঁকে। তারপরও বরাবর ক্লাসে ফার্স্ট হতেন। বৃত্তির টাকা কাজে লাগতো। পাঠশেষে চেয়েছিলেন চারুকলারই শিক্ষক হতে। পদ শূন্য ছিল না। যে দুটো কাগজে চাকরি নিলেন সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেল। এই গুণী শিল্পীকে অর্থকষ্টে এক পর্যায়ে ঢাকা ছাড়তে হয়। পরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসেন সতীর্থ শিল্পী শাহাদৎ চৌধুরী, কাজ দেন তাঁর সম্পাদিত সাপ্তাহিক বিচিত্রায়। পরে একই ভবনে দৈনিক বাংলায়ও কাজ শুররুকরেন অলকেশ। সাহিত্য পাতা দেখতেন কবি আহসান হাবীব, মহিলা পাতার দায়িত্বে গল্পকার মাফরুহা চৌধুরী, শিশু পাতায় ছিলেন শিশুসাহিত্যিক আফলাতুন- এই তিন নামী ব্যক্তির সম্পাদিত বিভাগে কত ধরনের ছবিই না তাঁকে আঁকতে হতো। এসবের প্রত্যক্ষদর্শী আমরা অনেকেই। কিন্তু জাত শিল্পী ছিলেন বলেই ছুটির দিনে সকালে উঠে পড়তেন ট্রেনে। ব্রহ্মপুত্র নদীতীরবর্তী ময়মনসিংহের নানা অঞ্চলে গিয়ে সারাদিন ছবি আঁকার কাজশেষে সন্ধ্যার ট্রেনে আবার ফিরে আসতেন ঢাকায়। রায়েরবাজারে পানিতে নেমে কাদার মধ্যে কাজ করেছেন, ইতিহাসের পানাম নগরের (সোনারগাঁও) লুপ্ত অলিগলি ও প্রকোষ্ঠে দিনের পর দিন শিল্পানুসন্ধান করে বেড়িয়েছেন। ছবি আঁকার প্রতি দায়বদ্ধতা ও অধ্যবসায়ের অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত এই মৃদুভাষী নিরহঙ্কার শিল্পী। দেশের সত্যিকার শিল্প-প্রতিভাকে অনেক সময়ই আমরা চিনে উঠতে পারি না। আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী এস এম সুলতানকেও তাঁর সমকালে (অলকেশের প্রিয় শিল্পী, অপর প্রিয় শিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যানগগ) খ্যাতিমান বেশ ক’জন শিল্পী স্বীকৃতিদানে কার্পণ্য করেছিলেন। যদিও জাতশিল্পী স্বীকৃতির মুখাপেক্ষী থাকেন না। অলকেশের মতো একজন বিশুদ্ধ শিল্পীকে অবশ্য মূল্যায়ণ করা হচ্ছে বেশ দেরিতে হলেও। ছবি আঁকার সরঞ্জামের উচ্চমূল্য সত্ত্বেও তাঁর মতো শিল্পীকে কমার্শিয়াল আর্টের ফাঁদে জড়িয়ে শিল্পের স্বভূমিচ্যুত হতে হয়নি, সেটি দেশের শিল্পসমাজের জন্য স্বস্তিকর সুসংবাদ।
অলোকসামান্য শিল্পী অলকেশ ঘোষের একক চিত্রপ্রদর্শনী কমই হয়েছে। তবে তিনি প্রচুর দলবদ্ধ প্রদর্শনী, আর্ট ক্যাম্প ও কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। পঁচিশটি কাজ নিয়ে প্রথম প্রদর্শনীটি হয় আমেরিকার বোস্টনে ১৯৮১ সালে। এরপর এক দশক আগে ঢাকায় বেঙ্গলে হয় আরেকটি প্রর্দশনী। এবার তাঁর চিত্রকর্ম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে ‘গ্যালারি কসমস’। জাতীয় জাদুঘরের নিচতলার সুবিশাল প্রদর্শনশালায় চলমান এ প্রদর্শনী, স্থান পেয়েছে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের একাত্তরটি শিল্পকর্ম। শিল্পীর জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ঢাউশ গ্রন্থ- ‘লাইফ অ্যান্ড ওয়ার্কস অলকেশ ঘোষ’। রচনাসমৃদ্ধ অভিজাত এ প্রশংসনীয় প্রকাশনাটি বর্গাকার অ্যালবাম সাইজে আড়াইশ পৃষ্ঠার। সত্তরের দিকে যাত্রাকারী বাংলাদেশের একজন গ্রেট আর্টিস্টের শিল্পে সমর্পিত জীবন ও রূপগ্রাহী চিত্রসম্ভার অবলোকনের সুযোগ মিলেছে এই গ্রন্থের মাধ্যমে। বিশেষ করে প্রথমদিককার কিছু অসাধারণ ড্রইং, বিমূর্ত আঙ্গিকের তেলরঙ ছবি এবং উডকাট এই গ্রন্থটিকে সম্পূর্ণতা দিয়েছে। কসমসের কর্ণধার এনায়েতউল্লাহ খানকে তাই শুধু ধন্যবাদ নয়, কৃতজ্ঞতা জানানোও সমীচীন।