করোনাকাল
বিচ্ছিন্ন অনুভব
মাহফুজা হিলালী

প্রবন্ধ
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
শামসুজ্জামান খান

গল্প
ডায়মন্ড লেডি ও পাথর মানব
হামিদ কায়সার

গদ্য
নিদ্রা হরণ করেছিল যে বই
মিনার মনসুর

নিবন্ধ
পঞ্চকবির আসর
সায়কা শর্মিন

বিশ্বসাহিত্য
আইজাক আসিমভের সায়েন্স ফিকশন
অনুবাদ: সোহরাব সুমন

বিশেষ রচনা
প্রথম মহাকাব্যনায়ক গিলগামেশ
কামাল রাহমান

শ্রদ্ধাঞ্জলি
মুজিব জন্মশতবর্ষ
মারুফ রায়হান
 
সাক্ষাৎকার
কথাশিল্পী শওকত আলী

জীবনকথা
রাকীব হাসান

ভ্রমণ
ইম্ফলের দিনরাত্রি
হামিদ কায়সার

ইশতিয়াক আলম
শার্লক হোমস মিউজিয়াম

নিউইর্কের দিনলিপি
আহমাদ মাযহার

শিল্পকলা
রঙের সংগীত, মোমোর মাতিস
ইফতেখারুল ইসলাম

বইমেলার কড়চা
কামরুল হাসান

নাজিম হিকমাতের কবিতা
ভাবানুবাদ: খন্দকার ওমর আনোয়ার

উপন্যাস
আলথুসার
মাসরুর আরেফিন

এবং
কবিতা: করেনাদিনের চরণ

১৬ বর্ষ ০৭ সংখ্যা
ফেব্রুয়ারি ২০২৪

লেখক-সংবাদ :





ইয়াসুনারি কাওয়াবাতার তিনটি গল্প
অনুবাদঃ কল্যাণী রমা
জল  [১৯৪৪]
মেয়েটি মানুষটিকে বিয়ে করবার জন্য জন্মভূমি ছেড়ে আসামাত্র, মানুষটিকে মাঞ্চুরিয়ায় চিং-এ্যান পর্বতশ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দপ্তরে বদলি করে দেওয়া হ’ল। মেয়েটিকে সবচেয়ে যা অবাক করে দিল তা হ’ল এখানে এক তেলের বোতল ভর্তি করে জল নিতে দাম দিতে হচ্ছে সাত সেন-  ঘোলা, নোংরা সেই জল।এই জল দিয়ে মুখ ধুতে হবে কিংবা চাল ধুতে হবে মনে করলেই মেয়েটির পেটের ভিতর গুলিয়ে বমি পেত। ছয় মাসের ভিতর বিছানার চাদর, সব অন্তর্বাস হলদে হয়ে গেল। আর সবকিছুকে ছাপিয়ে ডিসেম্বরে কুয়াটা একদম নীচ পর্যন্ত জমে শক্ত বরফ হয়ে গেল। একজন কুলি কোথাও একটা থেকে বরফের একটা চাঙর নিয়ে এল। মেয়েটি মাঝে মাঝে তা স্নানের জন্য ব্যবহার করত। প্রাচুর্যের কথা বলবার মত কোন জায়গা এটা নয়। তবু অবশ হয়ে যাওয়া হাড্ডি একটু গরম করতে পারলে তা কী আশীর্বাদই যে হত! দূরের স্বপ্নের মত মনে পড়ল নিজের গ্রামে ফেলে আসা স্নানাগারের কথাঃ কাঁধ পর্যন্ত গরম জলে নিজেকে নামিয়ে যখন সাদা তোয়ালেটা মেলে ধরত, তার হাত পাগুলোকে কী সুন্দরই না লাগত।
“যদি কিছু মনে না করেন, আপনার একটু জল বেচে থাকলে, আমি অল্প নিতে পারি কি?” এক প্রতিবেশী মহিলা একটা মাটির বোতল নিয়ে এসে বলল। অনেক দিন পর প্রথমবারের মত পাত্রগুলো পালিশ করতে গিয়ে সব জল শেষ করে ফেলেছি।”
কোন জল অবশিষ্ট ছিল না। কিন্তু সে প্রতিবেশীকে একটু বেচে যাওয়া চা দিল।
“আমি বসন্ত আসা পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে পারছি না। কাপড়চোপড়গুলো গলতে থাকা বরফের মধ্যে যত খুশি ধুতে পারব। কি ভালোই যে লাগবে যদি কিছু জল ছিটাতে পারতাম,” প্রতিবেশী মেয়েটি বলল। এ সেই মেয়ের স্বপ্ন যে কিনা এসেছে জাপান থেকে, ওখানে পরিষ্কার জল পর্যাপ্ত। সে আর অপেক্ষা করতে পারছে না, কবে বরফ গলে গলে আবার জল হবে। যখন সে গামলা থেকে জল ঢেলে দিতেই মাটি কিভাবে তা শুষে নিচ্ছে দেখবে, কী ভালোই যে লাগবে। ড্যান্ডিলাইনই প্রথম মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে।
মেয়েটি নিজের স্নানের জলে স্নান করবার জন্য প্রতিবেশী মহিলাটিকে আমন্ত্রণ জানাল। তখন হঠাত্ উত্তরের সীমানার দিকে ধেয়ে যাওয়া ট্রেনটি উপত্যকার মাঝ দিয়ে এসে হাজির হল। দক্ষিণের যুদ্ধক্ষেত্রের খবর জানবার এটাই সময়।
“কি বিশাল বিস্তার এর,” বাথটাবের গরম জলের ভিতর থেকে প্রতিবেশী মেয়েটি বলে উঠল। সত্যিই।  বহুদূর উত্তরে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দপ্তরে যেখানে মেয়েটির স্বামী কাজ করত সেখান থেকে বহুনীচে দক্ষিণের আকাশ পর্যন্ত বিস্তৃতি তার। এই হচ্ছে আজকের জাপান।
মেয়েটি যখন তার বাড়ির সামনে বের হয়ে এল, লার্চ গাছের ছোট ছোট ডালে জমে ওঠা তুষারের ফুল চেরী ফুলের পাপড়ির মত চারপাশে ঝরে পড়তে থাকল। মেয়েটি চোখ মেলে তাকাতেই, নিখুঁত নীল আকাশ মেয়েটিকে মনে করিয়ে দিল নিজ জন্মভূমির সমুদ্রের কথা।

ইউরিকো [ ১৯২৭]
ইউরিকো যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত, নিজের মনে মনেই সে ভাবত, “উমিকোর* জন্য এত মন খারাপ লাগে – নিজের বুড়ো আঙ্গুলের থেকেও ছোট ওর পেন্সিলটা, আর বয়ে নিয়ে বেড়ায় দাদার ব্যবহার করা পুরানো বই-এর ব্যাগ।”
সব জিনিষ নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর মত হওয়া দরকার ভেবে ইউরিকো লম্বা পেন্সিলটাকে নিজের পেন্সিল কাটবার ছোট ছুরি দিয়ে কেটে কয়েকটা ছোট ছোট টুকরা করল। নিজের বড় দাদা ছিল না বলে মা বাবার কাছে সে একটা ছেলেদের ব্যাগ পাওয়ার জন্য কান্নাকাটি জুড়ে দিল।
মেয়েদের স্কুলে পড়বার সময় ইউরিকো মনে মনে ভাবত, “মাতশুকো কী সুন্দর দেখতে। যখন ওর কানের লতি আর আঙ্গুল তুষারের কামড়ে পুরোপুরি লাল হয়ে ফেটে ফেটে যায়, কী অপূর্বই যে লাগে দেখতে তখন ওকে।”
ওর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর মত যেন হ’তে পারে, সেজন্য ইউরিকো হাত-মুখ ধোবার পাত্রে ঠান্ডা জল নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে হাত চুবিয়ে বসে থাকত। কানের লতিগুলোও ভিজিয়ে ভোরের ঠান্ডা বাতাসে সে স্কুলের পথের দিকে রওয়ানা দিত।
মেয়েদের স্কুল থেকে পাশ করবার পর বিয়ে হ’ল ওর। বলবার অপেক্ষা রাখে না যে ইউরিকো তার স্বামীকে নিজ প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসত। তাই, তার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষের সমকক্ষ হতে গিয়ে ইউরিকো তার চুল কেটে ফেলল, খুব ভারী চশমা পরে উপরের ঠোঁটের উপরের লোমগুলোর পরিপাটি যতœ নিয়ে আশা করতে থাকল তার গোঁফ গজিয়ে যাবে। ইউরিকো সী-ম্যান পাইপ খেতে শুরু করল, স্বামীকে ছেলেদের মত গলায় ‘হেই’ বলে ডাক ছাড়ত, হাঁটতে শুরু করল পুরুষদের মত লাফিয়ে লাফিয়ে। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা নিল ইউরিকো। তবে খুব আশ্চর্য যে তার স্বামী এই প্রতিটি কিছু করতেই তাকে খুব মানা করত। এমনকি তার নিজের মত একইরকম লম্বা আন্ডারওয়্যার পরলেও বিরক্তি প্রকাশ করত। ইউরিকো তার মত গালে কোন রঙ বা পাউডার না মাখলে ভ্রুকুটি করত। ফলে ইউরিকোর ভালোবাসার হাত পা যেন কেউ বেঁধে দিল। যে গাছের কলি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে তার মত সেই প্রেম ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে থাকল।
“কি অদ্ভুত মানুষ,” ভাবল ইউরিকো। “কেন ও আমাকে ওর মত করে সবকিছু করতে দেয় না? যে মানুষকে ভালোবাসি সে আর আমি যদি এমন আলাদা আলাদা হই, তবে তো বড় একা একা লাগে।”
ফলে ইউরিকো ঈশ্বরের প্রেমে পড়ল। প্রার্থনা করতে থাকল,“হে ঈশ্বর, দয়া করে দেখা দাও। কোন একটা ভাবে নিজেকে দেখাও। যে ঈশ্বরকে আমি ভালোবাসি তার মত হতে চাই। সে ঈশ্বর যা যা করে সব করতে চাই।”
আকাশ থেকে ঈশ্বরের পরিষ্কার গলা ভেসে এল।
“তুমি লিলি ফুল হবে। তোমার নামের ‘ইউরি’ টুকুর মত। লিলিফুলের মত তুমি কিছুই ভালোবাসবে না। লিলিফুলের মত তুমি সবকিছুই ভালোবাসবে।
“হ্যাঁ।”
আস্তে আস্তে একথা বলে ইউরিকো একটা লিলিফুল হ’য়ে গেল।

*গল্পের সব মেয়েদের নাম ফুল আর গাছের নাম থেকে। উমিকো হচ্ছে প্লাম শিশু। মাতশুকো  পাইন শিশু। আর ইউরিকো  হচ্ছে লিলি ।


এক সূর্য ঝলমল জায়গা (১৯২৩)
আমার চব্বিশ বছর বয়সে যে হেমন্তটি এসেছিলো, সেই হেমন্তে সমুদ্র-পাড়ের এক পান্থশালায় আমার সাথে একটি মেয়ের দেখা হয়েছিলো। প্রেমের শুরু সেখানেই।
মেয়েটি হঠাত্ করে মাথাটা তুলল আর মুখটা তার কিমৌনৌর হাতায় লুকিয়ে ফেলল।  তার এই ভঙ্গি দেখে ভাবলাম আবার নিশ্চয়ই আমি আমার বদ অভ্যাস প্রদর্শন করে ফেলেছি। আমি অস্বস্তি আর লজ্জায় কুঁকড়ে গেলাম। বেদনার ছায়া পড়ল মুখে।
“আমি তোমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকি। তাই না?”
“হ্যাঁ...কিন্তু তার জন্য নয়।” মেয়েটির গলা নম্র শোনাল, শান্তমত। আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
“তোমাকে এটা বিব্রত করে, তাই না?”
“নাহ্, ঠিকই আছে, তবে...সত্যি সব ঠিক আছে।”
সে জামার হাতা নামিয়ে নিল। তার ভাবভঙ্গী দেখে মনে হল যেন তাকে চেষ্টা করতে হচ্ছে নিজেকে দেখানোর জন্য উপযোগী করতে। মুখ ঘুরিয়ে আমি সমুদ্রের দিকে তাকালাম।
আমার পাশে যারা বসে তাদের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবার আমার বহু দিনের অভ্যাস। আমি বহুবার ভেবেছি নিজেকে এই বদ অভ্যাস থেকে মুক্ত করব। কিন্তু আমার পক্ষে খুব কঠিন হত যারা আমার আশেপাশে আছে তাদের মুখের দিকে না তাকিয়ে থাকা। কিন্তু যতবার এমন করতাম, নিজের প্রতি নিদারুণ ঘৃণায় ভরে যেত আমার মন। কি জানি হয়ত এই অভ্যাস আমার হয়েছিল আমার সবটুকু সময় অন্যদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের মনের ভাব বুঝবার চেষ্টা করতে গিয়ে। যখন বাবা মা-কে হারালাম, নিজের ঘর হারালাম তখন থেকেই হয়ত। অন্যদের সাথে গিয়ে থাকতে হয়েছিলো তারপর থেকে। মনে হল হয়ত সে জন্যই আমি এমনটা হয়েছি।
একসময় বুঝবার চেষ্টা করছিলাম এই অভ্যাস আমার অন্যরা আমাকে পালক নেওয়ার পর থেকে হ’ল নাকি আগে থাকতেই।কি জানি যখন আমি নিজের বাড়িতে ছিলাম তখন থেকেই হয়ত। কিন্তু স্মৃতির পাতায় কিছুই ভেসে উঠল না।
যা হোক মেয়েটি থেকে চোখ ফেরাতেই লক্ষ্য করলাম সমুদ্রের পাড়ে একটা সূর্যকরোজ্জ্বল জায়গা। হেমন্তের সূর্যের আলোয় তা ভেসে যাচ্ছে। এই সূর্য ঝলমলে জায়গাটা মনে করিয়ে দিল এক বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির কথা।
আমার বাবা মা মারা যাওয়ার পর, আমি একা আমার ঠাকুদাদার সাথে প্রায় বছর দশেক গ্রামের একটা বাড়িতে কাটিয়েছি। আমার ঠাকুরদাদা চোখে দেখতে পেতেন না। বছরের পর বছর উনি একই ঘরে বসে থাকতেন, একই জায়গায়, পূর্বদিকে মুখ করে-সামনে রাখা জ্বলন্ত কয়লা ভরা একটা লম্বা ধাতব পাত্র।মাঝে মাঝে উনি মাথাটা দক্ষিণ দিকে ঘুরাতেন, কিন্তু কখনো উত্তর দিকে নয়। যখন আমি আমার ঠাকুরদার এই শুধু একদিকে মাথা ঘুরানোর ব্যাপারটা লক্ষ্য করলাম, খুব চিন্তিত হয়ে পড়লাম। মাঝে মাঝেই আমি ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে বহুক্ষণ বসে থাকতাম, যদি উনি একবারের জন্যও মাথাটা উত্তর দিকে ঘোরান। কিন্তু আমার ঠাকুরদাদা বৈদুতিক পুতুলের মত প্রতি পাঁচ মিনিট পর পর মাথাটা ডানদিকে ঘোরাতেন, তাকিয়ে থাকতেন শুধু দক্ষিণ দিকের দিকে। খুব অদ্ভুত লাগত। কিন্তু দক্ষিণদিকে এক সূর্য ঝলমল জায়গা ছিল। আমি মনে মনে ভাবলাম কি জানি হয়ত দক্ষিণ দিকটা অল্প হলেও একজন অন্ধের কাছেও একটু বেশি আলোকিত মনে হয়।
এখন, সমুদ্রসৈকতের দিকে তাকিয়ে আমার ওই সূর্য ঝলমল জায়গার কথা মনে পড়ল যা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।
ওইসব দিনে আমি আমার ঠাকুরদার মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতাম। মনে মনে চাইতাম যেন উনি উত্তরদিকে মুখ ঘুরিয়ে তাকান। যেহেতু উনি অন্ধ ছিলেন, আমি প্রায় সময়ই ওনার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতাম। এখন বুঝতে পারছি সেই থেকেই মানুষের মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকা আমার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মানে আমি যখন আমার নিজের বাড়িতে ছিলাম তখন থেকেই এই অভ্যাস আমার। কোন আদিম চাহিদা থেকে হঠাত্ গজিয়ে ওঠে নি। এই অভ্যাসের জন্য নিজেকে খানিকটা করুণা করছি, এমনটাও মনে হল। এইভাবে ভাবতে পেরে আমার আনন্দে প্রায় লাফিয়ে উঠতে ইচ্ছে করল। আরও বেশি এজন্য যে আমার হৃদয় মেয়েটির জন্য নিজেকে পবিত্র করে তুলবার ইচ্ছায় ভরে ছিল।
মেয়েটি আবার বলে উঠল, “এ আমার অভ্যাস আছে। যদিও এখনো আমার একটু লজ্জা লজ্জা করে।”
ওর কথায় মনে হ’ল আমি আমার মুগ্ধতা নিয়ে আবার ওর দিকে স্থির হয়ে তাকিয়ে থাকতে পারি। ও নিশ্চয়ই এতক্ষণ ধরে ভাবছিল যে আমি এর আগে ওর সাথে অসভ্যতা করছিলাম।
আমি মেয়েটির দিকে তাকালাম। আমার মুখ উজ্জ্বলতর হয়ে উঠল। মেয়েটি লজ্জারাঙা হয়ে আমার দিকে গোপনে তাকাল। “আমার মুখ এক একটা দিন আর রাত পার হওয়ার সাথে সাথে কম সুন্দর হয়ে উঠবে। তাই আমি এসব নিয়ে ভাবি না।” একটা বাচ্চার মত বলে উঠল সে।
আমি হাসলাম। মনে হল আমার আর মেয়েটির সম্পর্কের মাঝে যেন হঠাত্ করেই এক ঘনিষ্টতা গজিয়ে উঠল। আমি সমুদ্র সৈকতের ওই রৌদ্র ঝলমল জায়গায় যেতে চাইলাম, সাথে মেয়েটি আর আমার ঠাকুরদার স্মৃতি বয়ে নিয়ে।
(জে. মারটিন হলম্যান-এর ইংরেজী অনুবাদ থেকে)